সবাইকে না, দুনিয়ার সকল সিঙ্গেল ও ডিসট্যান্ট রিলেশনশিপে থাকা লোকজনকে ভালবাসা দিবসের শুভেচ্ছা। কারণ এরাই একমাত্র ভালবাসা দিবসের মর্ম বোঝে। যারা একসাথে সময় কাটাচ্ছেন বা প্রেম করতেছেন কিংবা বিবাহিত, এদের শুভেচ্ছা জানিয়ে লাভ নাই। কেননা, এরা নিজেদের দুনিয়ায় এত ব্যস্ত যে অন্যদের শুভেচ্ছার তাদের দরকার নেই। আই মিন, ধরুন, যারা ইতিমধ্যেই বিবাহিত, তাদের দিনে একবার হলেও মনে হয়, ‘কেন যে বিয়ে করলাম!’ আর যারা প্রেম করতেছে, এরা সারাক্ষণ ভাবে, বিয়েই সব সমস্যার সমাধান, তাই বিয়ের আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপট তৈরি করতেই তারা এত ব্যস্ত যে ভ্যালেন্টাইন ডে নিয়ে তারা খুব ভাবিত না।
কেন বিজেপি’র NRC ও CAA আইন এর প্রতিবাদ করা দরকার?
১। জন্ম নিবন্ধন, জাতিয় পরিচয়পত্র ও নাগরিকত্ব সনদপত্র ইত্যাদি সেবা দেয়া সরকারের দায়িত্ব। কিন্তু দশকের পর দশক এসব বিষয়ে ভারত সরকার কোন মনোযোগ দেয়নি। ফলে কারো সব কাগজপত্র আছে, কারো কোন কোনটি আছে, কারো কিছুই নেই, ২০১৪ সালের আগেও নেই, পরেও নেই। ফলে হুট করে NRC আর CAA আইন হওয়ায় আসাম, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের অনেক নাগরিক যারা ৪৭, ৭১ এমনকি এর আগেও গেছেন, তারাও পরে গেছে ঝামেলায়। মোদী সরকার বিষয়টিতে কড়াকড়ি পদক্ষেপ নেয়ায় প্রায় ৪০ লক্ষ ভারতীয় এরকম ঝামেলায় পরেছেন। এর মধ্যে সেনা কর্মকর্তা , ব্যাংকার, শিক্ষকসহ অনেক প্রতিষ্ঠিত বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিকও রয়েছেন। গতবছর সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেয়া একজন আসামের নাগরিক, যার বাবা বাংলাদেশ থেকে আসামে গিয়েছিলেন ৪৭ এর পরপর, আত্মহত্যা করেছেন। কেননা তাঁর নাগরিক সনদপত্র ছিলনা, তার এতকাল প্রয়োজনও পরেনি। অথচ তাকে NRC এর আওতায়, তার নাগরিকত্ব নেই বলে জানিয়ে দেয়া হয়েছিল অফিশিয়ালি। বাংলাদেশ এর নাম ছাড়া পিতৃভূমির আর কোন চিহ্নই যার জীবনে ছিলনা, যিনি জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় আর পরিশ্রম দিয়েছেন ভারতকে মাতৃভূমি হিসেবে, তাঁর পক্ষে এই আইন চূড়ান্ত অবাস্তব ও অকল্পনীয়। শুধু তিনি একা নন, আসামে NRC আইনের কড়াল গ্রাসে আত্মহত্যাকারীর সংখ্যা প্রায় ডজন ছাড়িয়েছে।
বিকাশ না হলে এক ছাদের নিচে থাকা ঠিক না
পদ্মাবতী নিয়ে কেন এত বিতর্ক
জোকার অভিজ্ঞতা
জোকার দেখার আগে জোকার বিষয়ে কিছু সংবিধিবদ্ধ সতর্কিকরণ জানা থাকা জরুরিঃ
১. শিশুদের নিয়ে জোকার দেখতে যাওয়া যাবেনা। সহিংসতার দৃশ্যগুলো এক্কেবারে Raw. একজন মানুষকে খুন এর কারণ বোঝা এবং খুনের পরে খুনীর নির্বিকার প্রতিক্রিয়া দেখানো শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভয়ংকর দীর্ঘমেয়াদে। আমাদের চলচিত্র কর্তৃপক্ষের উচিত সিনেমাহলে আর রেটেড ও আ্যডাল্ট ছবির পোস্টারে ‘শিশুদের জন্য নয়’ লিখতে বাধ্য করা। আধাশিক্ষীত ও কমন সেন্সলেস দর্শকদের শিশুদের মানসিক সুস্থতা রক্ষার দায়িত্ব মাঝে মাঝে রাষ্ট্রের নিতে হয়।
যে ছবির জন্য হিন্দুত্ববাদী ভারত লজ্জিত
উডি আ্যলেনের ‘ব্লু জেসমিন’ আ্যখ্যান
কবির সিং নামাঃ সমস্যা কাহিনী ও চরিত্রে না, পরিচালনায়
মেজাজ এতো খারাপ যে বিস্তারিত লেখা অসম্ভব।
যখন কোন ছবিতে নারী পুরুষের একতরফা মারামারির দৃশ্য বিশেষত পুরুষ মহিলার গায়ে হাত তুলছে এরকম কিছু দেখায়, এবং তাতে দর্শককে তালি দেয়ার জন্য কোন পরিচালক প্ররোচিত করে এবং তাতে সাফল্য পায়, তখন মনে হয়, এই চ বর্গীয় টাইপের ছবি যে বানিয়েছে এবং লিড রোলে যে বা যারা অভিনয় করেছে এরাও আসলে চ বর্গীয়।
সবাই সেপিওসেক্সুয়াল হলে পুরুষতান্ত্রীক, ধর্ষক ও নির্যাতক কারা?
মাঝে মাঝে কিছু বিষয় দেখে হাসি পায়, মেজাজও খারাপ লাগে। এই যেমন ধরুণ, এখন ‘সেপিওসেক্সুয়ালিটি’ নিয়ে খুব কথাবার্তা চলছে। অনেকেই নিজেদের ‘সেপিওসেক্সুয়াল’ হিসেবে চিহ্নিত করছে ফেসবুকে। ব্যাপারটা এমন যে, বিষয়টি সম্পর্কে তারা কেবলই জানল এবং সেই জানা অনুযায়ী তারা এক্কেবারে নিশ্চিত যে তারা অবশ্যই সেপিও। হাস্যকর। বিষয়টি সম্পর্কে দু চার লাইন শুনে, গভীরভাবে না বুঝেই কিন্তু তারা এটা করল। যেন এটা করে সেপিও হয়ে তারা জাতে উঠল।