এখন নাকি দুটি পক্ষ। যারা সাহিত্য করে এবং পড়ে আর যারা করেনা, পড়েও না। শেষোক্তদের অহেতুক ও যুক্তিহীন যুক্তি এবং বিতৃষ্ণা ও না পড়ার নেশা আক্রান্ত করে প্রথমোক্তদেরও। প্রতি মিনিটে এখানে হাজার হাজার লেখক-কবি আত্মহত্যা করে গাজোয়ারি মুক্তি হীন স্রেফ টাকাওয়ালা ব্র্যান্ডেড পোশাকি লোভের রেললাইনে কাটা পড়ে। সাহিত্য ও টাকা দুটি সাংঘর্ষীক বিষয় প্রাথমিকভাবে।
কেউ যদি মনে করে সাহিত্য করে টাকা বানাবে,তাহলে আদতে সেটা সাহিত্য শেষ পর্যন্ত হবে কিনা সন্দেহ। কিন্তু যে টাকা বানাতে চায় তাকে সব বাদ দিয়ে শুধু টাকাই বানাতে হবে, মনের মধ্যে যে শিল্পী বা শিল্প প্রেমিক সত্তাটি বাস করে, তাকে মেরে ফেলতে হবে, এটা খুব গাড়ল, Uncultured এবং তৃতীয় শ্রেণীর চিন্তা।
মানুষের শুধু খাওয়া, যৌনতা, ঘোরাফেরা ও পরিবারকেন্দ্রীক হয়ে বাঁচা ঠিক না। সাহিত্য এই কয়েকটি জিনিসের বাইরে কিভাবে তাকাতে হয় এবং মানুষকে আরও কতভাবে বোঝা যায়, জীবনকে আরও কতভাবে ভালবাসা যায় তাই খুব সুন্দরভাবে শেখায় অবচেতনে। মানুষকে মানবিক, সহনশীল ও স্পর্শকাতর করে তোলে। যারা সাহিত্য করেও না, পড়েও না সত্যিকার অর্থে এ ধরণের মানুষের সাথে Interaction অনেক সময় বিরক্তিকর অভিজ্ঞতা দিতে পারে একজন সাধারণ মানের পাঠক/লেখককেও। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা মানুষকে সব বোধ ও সহনশীলতা শেখাতে পারেনা সবসময়। শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বা আধখেচরা চেতনা মানুষকে অহংকারী করে তোলে। যা আসলে করুনাযোগ্য।