তুমি এলে অবশেষে
কত ঘুম জড়ানো সময় গেছে
তোমায় ভেবে,
ভোরের পাখি চোখ মুছে
যখন দু’পা ছড়িয়ে নেবে
তখন,
এলে অবশেষে।
সারা দিন তোমার টুপটাপ ছন্দ
মোহিত আমি, গৃহী গুটিসুটি
পাতায় পাতায় কী যে আনন্দ
রবির কিরণ হেসে লুটোপুটি।
আর যখন থামলে তুমি,
কোলাহলরত নগরী হল শান্ত
পাখির নীড়ের মত প্রেমময়,
সদ্যস্নাত কিশোরীর লাবণ্য স্নিগ্ধ।
তার পিচ ঢালা রাস্তার বুকে
এক প্রেমিক হেঁটে গিয়ে পেল নীড়,
যেন কোন গৃহহারা প্রেমিকের মুখ
খুঁজে পেল তার প্রেয়সীর বুক।
ফুটপাথ দিয়ে হেটে হেটে
দাঁড়ালাম কৃষ্ণচূড়ার নিচে
সেও বুঝি তোমার স্নেহধন্যা
একফোটা অঞ্জলি দিতে ভুল করল না।
হিম বাতাসের রেনু ও এসে বলল কানে কানে
কেমন ছন্দ তুলে নেচেছিলে রিমঝিমঝিম গানে।
কে যেন এক সবুজ তুলির ছোঁয়া দিল
সব সবুজের বনে,
সব অবুঝের মনে,
সে কী তুমি?
হ্যাঁ,সে তো তুমিই!
বৃষ্টি, তুমি বন্ধু, চির বন্ধন সব মানব মানবীর
এই পৃথিবীর,এই সবুজের,এই মাটির,
তোমার জন্য রইল আমার সব হৃদয় আবির।