বায়োপিক মানে সবার প্রত্যাশা আকাশচুম্বী। গল্প নতুন না হলেও গল্পটা কিভাবে বলা হল সেটা নিয়ে দর্শকের থাকে অন্তহীন কৌতুহল। নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন শচীন নিজে, প্রেক্ষাগৃহে যাবার জন্য সম্ভবত এই একটি কারণই যথেষ্ঠ ছিল। কিন্তু ছবি শুরু হবার পর দর্শকের অবাক হবার পালা শুরু। একসময় সেটা মন্ত্রমুগ্ধতায় পর্যবশিত হল। এবং এক পর্যায়ে গিয়ে বোঝা গেল পরিচালক কেন শচীনকে নিয়ে পুরোদস্তুর প্রচলিত ধারার চলচিত্রের বাইরের কিছু বানিয়েছেন। তাই এটাকে বায়োপিক না বলে বলা হচ্ছে ডকু–ড্রামা।শচীনের জীবন এত বর্ণীল, এত ক্লিপিংস আছে যা জোড়া লাগিয়ে লাগিয়েই একটা পাক্কা গল্প সাজানো গেছে। গল্প বলেছেন শচীন নিজের কণ্ঠেই, সেই সাথে বলেছেন তার স্বজনরাও। এর চেয়ে ভাল গল্প অভিনয় করে, স্ক্রিপ্ট সাজিয়ে হয়তো হত না। কোনভাবেই অভিনয় করে হয়তো বাস্তবের এই আবেগগুলো ধরা যেত না ক্যামেরায়। কোটি কোটি মানুষের এত আনন্দাশ্রু কিংবা ক্ষোভের আগুন, এত ভালবাসা, শচীনের ডেভোশন, ডেডিকেশন ওপ্রেরণার জায়গাগুলো না দেখালে অজানাই থেকে যেত এত কিছু, অন্ধকারে থেকে যেত ক্রিকেটীয় ইতিহাসের স্বর্ণময় উৎকর্ষ।
ক্রিকেটের বাইরের শচীন
শচীন অদ্বিতীয় এবং খেলোয়াড় হিসেবে অসাধারণ সেটা সবাই জানে। তবে শুধু খেলোয়াড় হিসেবেই নয়, সৎ, বিনয়ী, দেশপ্রেমিক এবং মানুষ হিসেবেও পরিপূর্ণ। এটা শুধু প্রশংসা নয়, তার সারাজীবনেই প্রমাণিত। একজন আদর্শ খেলোয়াড় কেমন হওয়া উচিত, তার সংজ্ঞাকেও শচীন অতিক্রম করে গেছেন আপন মনেই। এর অবশ্য যৌক্তিক কারণ ছিল। মারাঠি ভাষার অধ্যাপকের সন্তান তিনি। পিতার সুখ্যাতি ছিল কবি হিসেবে। মা ছিলেন অসম্ভব পরিশ্রমী মহিলা। গান ছিল শচীনদের পরিবারের প্রাণ। গান ভালবাসার দরুনই ছোট সন্তানের নাম রেখেছেন বিখ্যাত গায়ক শচীন দেব বর্মণের নামে। শচীন এসব কথা নিজেই বলছেন। এই গানই শচীনকে পরবর্তী জীবনে খারাপ ও ভাল সময়গুলোতে আবেগ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করেছে। একই গান শুনতেন বার বার। নিজেই বলেছেন, “গান ছিল সবসময় আমার গোপন অস্ত্র”।
লেখক ও কবি বাবার অবদান ক্রিকেটে নয়, কিন্তু শচীনের স্বভাবে। এবং সেটা শচীনকে এতই গভীরভাবে প্রভাবিত করে যে তিনি তার বাবার মতই নিজের সন্তানদের গড়ে তুলতে চান। শচীন তার বাবার অবদান স্মরণ করতে গিয়ে বললেন, প্রতিবার সেঞ্চুরি পাবার পর তিনি আকাশের দিকে তাকান ভগবানের উদ্দেশ্যে। বাবা মারা যাবার পর সেখানে তিনি বাবাকেও দেখতে পান। আরও বলেন অনুভূতিপ্রবণ বাবা তাদের কিভাবে শিখিয়েছেন বিনয়ী হতে, বড়দের শ্রদ্ধা করতে, সবার সাথে সৌজন্যমূলক আচরণ করতে, সামাজিক ও পারিবারিক রীতি মানতে এবং সবচেয়ে বড় বিষয়, শুধু টাকার পিছনে না ছুটে পরিশ্রম করে যেতে। কয়জন বাবা–মা এই শিক্ষাটা শেখাতে পারে ঠিক মত ? শত শত ক্যামেরার ফ্ল্যাশ, দেশের সেরা খেলোয়াড়ের তকমা, কোটি কোটি টাকা আয় করার পর এ কথা মনে রাখা কোন সাধারণ ব্যাপার কি? শচীনের বিরুদ্ধে কারো সাথে ঝগড়া, বিতর্ক, হাতাহাতি কিংবা সাংবাদিকদের সাথে নিতান্ত দম্ভোক্তি,কটূক্তি , কাউকে ছোট করে ফান করার অভিযোগও নেই। এবং ম্যাচ ফিক্সিং? অসম্ভব। ক্রিকেটের বিষয়ে শচীনের সততা ও ভালবাসা এত বেশি জাজ্বল্যমান যে শত প্রলোভন থাকার পর অনুকূল পরিবেশ থাকলেও তিনি সেদিকে যেতেন কিনা সন্দেহ।
শীবাজী রাও পার্ক থেকে মুম্বাই ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম
শচীনের ভাই অজিতই প্রথম আবিস্কার করেছিলেন তার এই ঝাকড়া চুলের মিষ্টি ও দুষ্ট ছোট ভাইটির মধ্যে একটি ‘স্পার্ক’ আছে। তরুন অজিত তার সদ্য কৈশরে পা দেয়া ভাইটিকে নিয়ে শীবাজী রাও পার্কে কোচ রামাকান্ত আচার্কারের কাছে গেলেন। এই আচারকারই তাকে শিখিয়েছিলেন কোন খেলোয়াড় সে যত ভালই হোক, দলের চেয়ে কোনদিন বড় হতে পারেন না। খেলার সময় খেলতে হবে সততা ও আত্মবিশ্বাসের সাথে। কঠিন রুটিন মেনে আচারকারের তত্ত্বাবধানে হয়ে স্কুল পর্যায়ে হয়ে উঠেছেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী এক ব্যাটসম্যান। স্কুল ক্রিকেটে শচিন-কাম্বলির ৬৬৪ রানের জুটি (যা এখনো অক্ষত) তখনই সারা ভারতকে জানিয়ে দিয়েছিল একজন মহানায়কের পদধ্বনি। অনেকেই তার খেলা দেখার জন্য তাকে দেখতে এসেছিলেন।
মাত্র ১৫ বছর বয়সে প্রথম শ্রেনীর খেলা শুরু করেছিলেন। রনজি ট্রফি। দূর্দান্ত পার্ফরম্যান্স করে সুযোগ পেয়ে গেলেন জাতীয় পর্যায়ে এবং প্রথম সিরিজই ছিল পাকিস্তান ট্যুর। পাকিস্তানের মত দারুন উত্তেজনাপূর্ন এবং ঐতিহাসিক প্রতিদ্বন্দ্বীর সাথে খেলতে গিয়ে মাত্র ১৬ বছর বয়সের একজন খেলোয়াড়ের পক্ষে নিজেকে প্রমাণ করা ছিল অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। ওয়াসিম ও ওয়াকারদের মত পৃথিবীর অন্যতম সেরা ফাস্ট বোলারদের সামনে প্রথমে বেশ ভীতই ছিলেন। প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে। কিভাবে সে ভীতি কাটিয়ে উঠলেন সেই গল্পটা এসেছে দারুনভাবে এই ছবিতে। ওয়াকারের বলে নাকে চোট পেয়েছিলেন। কিন্তু মাঠ ছাড়েননি। ঐটুকু ছেলের দৃঢ়সংকল্প দেখে অনেকেই অবাক হয়েছিলেন। ভয় কাটিয়ে উঠে দ্বিতীয় ইনিংসে করেছিলেন ৫৭। সেই যে ভয় কাটিয়ে একের পর এক সিরিজে সেঞ্চুরি করতে লাগলেন, তার রানে ভর করে জিততে লাগল ভারত। ৯০ দশকের ভারতের আর্থ-রাজনৈতিক নানা দুরাবস্থার মধ্যে টেন্ডুলকারের বদৌলতে ক্রিকেটিয় জয়গুলো সারা ভারতবর্ষের সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিয়েছিল। ক্রমেই জনপ্রিয়তা বেড়ে জাতীয় নায়কে পরিনত হচ্ছেন তিনি। ইতোমধ্যে ১২৮ বছরের ক্রিকেটের ইতিহাসে শচীন ইয়র্কশায়ারের হয়ে প্রথমবার ভারতীয় হিসেবে খেলার সুযোগ পান। ভারতীয় টিভি দূরদর্শন বিসিসিআই এর কাছে ভারতের খেলা দেখানোর জন্য ৫ লাখ রুপি চাইতো। অথচ ১৯৯৩ সালে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ইএসপিএন-এর কাছে ৬ লাখ ৫০ হাজার ডলার এর বিনিময়ে ভারতের খেলার স্বত্ব বিক্রী করে। এবং এই টেলিকাস্ট বিপ্লবের কেন্দ্রীয় চরিত্র ছিলেন একজন, শচীন। ১৯৯৬ এর বিশ্বকাপে টপ ফেভারিট ছিল ভারত। মাত্র ২২ বছরের টেন্ডুলকারের কাধে ছিল সেদিন ১০০ কোটি মানুষের প্রত্যাশার চাপ। সেই সেমিফাইনালে শ্রীলংকার সাথে অপ্রত্যাশিত স্টাম্পিং এর আউট বিশ্বকাপ স্বপ্ন ধুলিশ্মাত হয়ে যায় শচীনের, সেই সাথে ভারতবাসীর।
শুরু হয় এক হতাশাজনক অধ্যায়। এর মাঝে শচীন আবির্ভূত হন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হিসেবে। মাত্র ২৩ বছর বয়সে ক্যাপ্টেনসির দায়িত্ব পালন করা আজহার এর মত ক্লাসিক ও গ্লামারাস সিনিয়র খেলোয়াড় থাকা অবস্থায় মোটেও সহজ ছিল না। তার উপর একের পর এক সিরিজ হারতে লাগল। সবার ধারণা হতে লাগল ক্যাপ্টেনসির মত দায়িত্বের প্রভাব পড়তে লাগল তার পার্ফরমেন্সে এমনকি দলের উপরো যদিও টেন্ডুলকারের কিছু করার ছিল না। দল-ক্যাপ্টেনসি-ব্যাক্তিগত পার্ফরমেন্স সবকিছু সমন্ময়ে পরিবারের ভূমিকা এবং তার ক্রিকেটের প্রতি ভালবাসাটা এত সুন্দরভাবে এসেছে, সত্যিই অনুধাবন করা যাচ্ছিলেন কিভাবে একজন শচীন শেষ পর্যন্ত শচীন থেকেছেন।
টেন্ডুলোকার শেন ওয়ার্ন ছাড়া আর কখনও কোন বোলারের উপর হোমওয়ার্ক করেননি। শেন ওয়ার্ন ছিলেন তখন সেরা স্পিনারদের একজন যিনি রাউন্ড দ্যা উইকেট বল করতেন। সেই সাথে ছিল মাঠে ওয়ার্নের ধারাবাহিক বুলিং। ১৯৯৮ শারজার ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচগুলোতে তিনি ওয়ার্নকে ধুয়েছেন, জিতিয়েছেন দলকে। পুরো সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের সামনে এক শচীনই ছিলেন কালাপাহাড়ের বাধা হয়ে। শচীনের অলরাউন্ডার ণৈপুন্য হিসেবে সেটাই ছিল তার সেরা সিরিজ। পুরো ভারতকে তিনি ক্রিকেট উন্মাদ এক জাতিতে পরিনত করলেন। উল্লাসরত গ্যালারিতে উড়ছে ব্যানার “Cricket is Our Religion”।
ধারাবাহিক জিতে চলার পর আবার বিশ্বকাপ জেতার প্রত্যাশার চাপ। কিন্তু হঠাত বাবার মৃত্যুর খবর শ্চীনের মাথায় যেন বাজ ফেলল। যে বাবার আশীষ নিয়ে সব সময় মাঠে নামেন তিনি, তার মৃত্যুর খবর পাওয়া মাত্র বিমানে চেপে বাড়ি ফেরেন তিনি। কর্তব্য সম্পন্ন করে মায়ের আদেশে আবার তখুনি ফিরতি বিমান ধরে ফিরে আসেন লন্ডন বিশ্বকাপ ম্যাচে। পিতার মৃত্যুর পরেরদিন জিম্বাবুয়ের ম্যাচে সেঞ্চুরি করে জেতালেন দলকে। সেঞ্চুরি উতসর্গ করলেন পিতার উদ্দেশ্যে। একজন ক্রিকেটার হিসেবে উপযুক্ত শ্রদ্ধাই প্রদর্শন করলেন তিনি। ক্রিকেটের প্রতি এই দায়বদ্ধতা ও ভালবাসা সত্যিই বিরল। ছবিতে এই বর্ননা কাদিয়েছে অনেককেই। সেমিফিনাল থেকেই বিদায় নিয়েছিল দলও।
২০০৩ সালের বিশ্বকাপে ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে পরাজয় মেনে নিতে পারেননি শচীন মানসিকভাবে। ম্যান অফ দি সিরিজ হিসেবে যে গোলডেন ব্যাট পেয়েছেন তা কোথায় রেখেছেন নিজেই জানতেন না, কারণ যে ট্রফি তিনি চেয়েছিলেন তা পাননি। বিশ্বকাপ থেকে ফিরে দীর্ঘমেয়াদী ইঞ্জুরিতে পরে গেলেন। তার ইনজুরিতে দেশের সাধারণ মানুষও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়লেন। এই সময় তার পরিবার, বন্ধু, সহকর্মী, বিসিসিআই যেভাবে সহায়তা করেছে তা উঠে এসেছে ছবিতে। ২০০৭ এর বিশ্বকাপ ছিল টেন্ডুলকারের কাছে দুঃস্বপ্নের মত। ছবিতে দেখা গেল তিনি কোচ গ্রেগ চ্যাপলকে বলছে ‘হেডমাস্টার’। এই হেডমাস্টার কোচের তত্ত্বাবধানে খেলা ইন্ডিয়ান টিম ছিল আত্মবিশ্বাসহীনতায় ভোগা একটি দল। বাংলাদেশের কাছে হেরে বিদায় নিতে হবে নক আউট পর্বে শচীন স্বপ্নেও ভাবেননি। পরের বছরটি উল্লেখযোগ্য তার জন্য। ২০০৮ সালে মুম্বাইয়ের সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় পুরো জাতি মানসিকভাবে চরম বিদ্ধস্ত। ঠিক এরকম সময় চেন্নাইয়ে ইংল্যান্ডের সাথে খেলছে ভারত। শচীন সেঞ্চুরি করলেন, দল জেতালেন। পুরো জাতি উজ্জীবিত হয়ে উঠল জাতীয়তাবোধে। একজন খেলোয়াড় দেশের ক্রান্তিলগ্নে আর কত উপকারে আসতে পারে?তাকে দেখা মাত্র তখন গ্যালারির শচীন শচীন উল্লাস ধবনি হয়ে উঠল সাধারণতম দৃশ্য।
আইপিএল এর ডামাডোল শুরু হল ২০১০ এ। শচীন ছাড়া আইপিএল অকল্পনীয়। আইপিএল যেন তার প্রতীভাকে আরও সানিয়ে নিয়েছে। এর মধ্যেই আবার ওডিআইতে গড়লেন অসাধারণ রেকর্ড যা এখনও কেউ ছুতে পারেনি। ২০০ রানের রেকর্ড এবং সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি। শচীন পরিনত হলে ভারতের জাতীয় গৌরবের প্রতীকে।
এল ২০১১’র বিশ্বকাপ। ভারতীয় দল তখন অনেক শক্তিশালী। তার উপর স্বাগতিক। এই বিশ্বকাপই শচীনের শেষ বিশ্বকাপ। শচীন যেন শুধু কাপে হাত ছোয়ানোর লক্ষেই খেলছেন। প্রতিটি ম্যাচ জিতছেন আর কাপের দিকে একটু একটু করে আগাচ্ছেন। তার স্বপ্ন পূরণের জন্য মরিয়া তার সহখেলোয়াড়ারাও। বিশ্বকাপটি যেন শুধু শচীনকেই উতসর্গ করা হবে। ওয়াংখেরের ঘটনা সিনেমার পর্দায় মানুষকে আবার অশ্রুশিক্ত করেছে নিঃসন্দেহে। শচীন যখন নামলেন প্যাড পড়ে ব্যাট হাতে, শচীন শচীন উল্লাসে ফেটে পড়ল গ্যালারি। কিন্তু শচীন আউট হলেন ১৮ তে। পুরো গ্যালারিতে নেমে এল পিনপতন স্তব্ধতা। এটাকে নাম দেয়া হয়েছে “Sachin, the impact”। তবে অন্যান্য বিশ্বকাপ ফাইনালের মত এবার আর হতাশ হতে হয়নি তাকে। বিশ্বকাপকে আলীংগন করেছেন, জাতীয় পতাকা গায়ে জড়িয়ে ঘুড়েছেন পুরো মাঠ। জীবনের সব স্বপ্ন সত্য হয়ে গেল তার।
শচীনের অবসর ঘোষণা-জাতীয় ঘটনা
শচীনের অবসর ঘোষণা ছিল একটি অধ্যায়ের সুন্দর সমাপ্তি। ১০ অক্টোবর ২০১৩। দিনটা আগে থেকেই জানত গণমাধ্যম এবং দর্শকরা। ঢাক ঢোল, ব্যানার ফেস্টুন, আর শচীনের জন্য অজস্র ভালবাসা নিয়ে হজির হয় দর্শক মুম্বাইয়ের সেই ওয়াংখেড়ে। ওয়েস্টিন্ডিজের সাথে জীবনের শেষ সিরিজ দিয়ে শেষ করলেন তার বর্ণাঢ্য কেরিয়ার। তার অবসর ঘোষণার স্পিচ আবেগে ভাসিয়েছে সারা ভারতবাসীকে। এক মহাণক্ষত্রের ক্রিকেট জীবনের পরিসমাপ্তি সিনেমার পর্দায় দেখে আবার আবেগে ভাসছে দর্শক। ইতিমধ্যেই বক্স অফিসে ঝড় শুরু হয়ে গেছে। বক্স অফিসে শচীন ঝড় দীর্ঘস্থায়ী বা ক্ষণস্থায়ী যাই হোক, শচীনবন্দনা কখনই থামবে না , এ নিঃসন্দেহে বলা যায়।

একনজরেঃ
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ২০০ ৪৬৩ ৩১০ ৫৫১
রানের সংখ্যা ১৫,৯২১ ১৮,৪২৬ ২৫,৩৯৬ ২১,৯৯৯
ব্যাটিং গড় ৫৩.৭৮ ৪৪.৮৩ ৫৭.৯২ ৪৫.৫৪
১০০/৫০ ৫১/৬৮ ৪৯/৯৬ ৮১/১১৬ ৬০/১১৪
সর্বোচ্চ রান ২৪৮* ২০০* ২৪৮* ২০০*
বল করেছে ৪,২৪০ ৮,০৫৪ ৭,৫৬৩ ১০,২৩০
উইকেট ৪৬ ১৫৪ ৭১ ২০১
বোলিং গড় ৫৪.১৭ ৪৪.৪৮ ৬২.১৮ ৪২.১৭
ইনিংসে ৫ উইকেট ০ ২ ০ ২
ম্যাচে ১০ উইকেট ০ – ০ –
সেরা বোলিং ৩/১০ ৫/৩২ ৩/১০ ৫/৩২
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১১৫/– ১৪০/– ১৮৬/– ১৭৫/–