মায়া,
তুই দাঁড়িয়ে থাকিস ঘুমভাঙা সব জানালায়
প্রথম চাওয়ায় দেখি
লাফিয়ে নামলি আলতো করে চোখটায়।
সেই যে ভর করলি
আর ধরতে পারিনি কোন আভাসে
না পারি আর ছাড়তে পিছু
তুই ঘুড়ি হয়ে উড়িস মেঘমাখা সব আকাশে।
চোখের পলকে যাস হারিয়ে
মনের সীমানা ছাড়িয়ে
পায়ের কাছে ঘাসফুলের বুক মাড়িয়ে।
মায়া,
তোর চোখের কোণে জমে থাকা মেঘ বর্ষে
তোর পায়ের তলায় সর্ষে
সে বর্ষা নামে বুকের গভীর জমিনে
আমি কোন বিচ্ছেদ মানি নে, মানি নে।
হা হা হাসি পায় আমার
জানি, শূণ্যতাই তোর ধর্ম
তুই যে কচু পাতায় আঁকা চিত্রাঞ্জলি স্রষ্টার
তবু প্রশ্ন জাগে
এই প্রেম, এই মোহ কার, কার?
তুই শুধু একঝাঁক সবুজ পাখি
দিবা রাত্রি তোর ডাকাডাকি
মানস তানে দিয়ে যায় কোন সুর
কথার পায়ে পরানো কিছু কবিতার নূপুর।
মায়া, তুই লিখে রাখা কথা বালুকা বেলায়
ঢেউয়ের তোড়ে মুছে যাওয়া সব পাপ বাসনায়।
মায়া, তুই মানিসনা এই পৃথিবীর আইন
যাবার বেলায় দিয়ে যাস কিছু কবিতার লাইন।